শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪, ০৬:৩৫ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টারঃ শেষ বৈশাখের তীব্র তাপদাহে পুড়ছে পুরো গাইবান্ধা জেলার জনগন। পক্ষকাল ব্যাপী তীব্র গরমে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে জেলার জনজীবন । বিশেষ করে বেশি বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষ গুলো। গরমের তীব্রতায় তৃষ্ণার্ত মানুষ ও প্রাণীকুলে নাভিশ্বাস উঠেছে। চারিদিকে একটু শীতল পরশ লাভের জন্য মানুষের যেন ব্যাকুল প্রচেষ্ট। মেঘ ভাঙ্গা রোদে শরীর যেন পোড়া পোড়া তাপমাত্রা। পাশাপাশি ভ্যাপসা গরম।
এদিকে তীব্র গরমে বাড়ছে নানা রকমের রোগব্যাধি। বিশেষ করে ডায়রিয়া, জ্বর, শ্বাসকষ্টের রোগীর সংখ্যা বেড়েছে আশঙ্কাজনকভাবে। বিশেষজ্ঞরা প্রচুর পরিমাণে বিশুদ্ধ পানি পান করতে পরামর্শ দিলেও কর্মজীবী লোকজন পিপাসা মিটাতে বাধ্য হয়ে ফুটপাতের শরবত, পানি পান করছেন। এতে করে পানিবাহিত অন্যান্য রোগও ছড়াচ্ছে দিন দিন। তীব্র তাপদাহের কারণে মানুষেরা জীব-জীবিকার তাগিদে ঘর থেকে বের হতে সাহস পাচ্ছেন না।
পৌরশহরের রিকশাচালক খোরশেদ আলী বলেন, বৈশাখের এই তীব্র রোদের কারণে রিকশা চালাতে খুব কষ্ট হচ্ছে। এত গরম যে রাস্তায় দাঁড়ানো কঠিন হয়ে যাচ্ছে। গরমের কারণে মানুষ কম বের হচ্ছে। ফলে আয়-ইনকাম কমে গেছে।
কৃষি শ্রমিক রুহুল আমিন জানান, এই রোদের ভিতর ১/২ ঘন্টা মাঠে থাকা যায় না। একদিকে ধানের গরম, অন্যদিকে ভ্যাপসা গরমে মাথা ঘুরিয়ে ওঠে। বাতাসও গরম লাগে।
গূহীনিরা জানান, ঘরে ফ্যানের বাতাসও প্রচন্ড গরম। আকাশটা গম্ভীর হয়ে থাকে। বাতাস নেই। বাতাস হলেও গরম বাতাস। হাঁস-মুরগি গরমে মরে যাচ্ছে। গরু -ছাগলের পাতলা পায়খানা হচ্ছে। একদিকে ধানের কাজ অন্যদিকে তীব্র তাপদাহে কষ্টও বেড়েছে। একটু স্বস্তি পেতে ঠান্ডা শরবত, ফ্রিজের পানি, আইসক্রিম খেয়ে তৃষ্ণা মেটাতে চেষ্টা করছি ।
কৃষকেরা বলছেন, এই গরমে একদিকে খড়ের গরম অন্যদিকে সূর্যের প্রচন্ড তাপে সিদ্ধ হওয়ার মত অবস্থা।